ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের এমপি পাপুল কুয়েতে রিমান্ডে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানবপাচারের চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কুয়েতের সিআইডির (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেয় কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর।

সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে কুয়েত থেকে প্রকাশিত আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে সোমবার বলা হয়েছে, দেশটির সিআইডির কর্মকর্তারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জেরা করে জানতে পেরেছে তাদের প্রত্যেকেই কুয়েত যেতে সাংসদকে তিন হাজার দিনার করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও প্রতি বছর তারা ভিসা নবায়নের জন্য বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্যকে বাড়তি টাকা দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সাংসদ কাজী শহিদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগ এনেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। ওই দেশটির গোয়েন্দারা সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নামে কুয়েতে মানবপাচারে হাজার কোটি টাকার কারবারের সম্পৃক্ততা পান।

এ বিষয়ে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, সাংসদ কাজী শহিদকে আটকের খবর এখানকার গণমাধ্যমে জানার পর এ নিয়ে জানতে রোববার কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখি। এখন পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে পারিনি।

ওই এমপির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে একজন সংসদ সদ্য এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবেন তা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমন সময় এই ঘটনাটা ঘটেছে যখন পৃথিবীর সব দেশ মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। এমন সময়ে ওই এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এতে লজ্জিত।’

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির সমঝোতার মাধ্যমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন পাপুল। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। পরে এক পর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির প্রার্থী। আলোচনা ছিল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পাপুল ওই প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেন। বিষয়টি নির্বাচনের সময়ই বেশ আলোচিত ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের এমপি পাপুল কুয়েতে রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০৫:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানবপাচারের চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কুয়েতের সিআইডির (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেয় কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর।

সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে কুয়েত থেকে প্রকাশিত আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে সোমবার বলা হয়েছে, দেশটির সিআইডির কর্মকর্তারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জেরা করে জানতে পেরেছে তাদের প্রত্যেকেই কুয়েত যেতে সাংসদকে তিন হাজার দিনার করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও প্রতি বছর তারা ভিসা নবায়নের জন্য বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্যকে বাড়তি টাকা দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সাংসদ কাজী শহিদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগ এনেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। ওই দেশটির গোয়েন্দারা সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নামে কুয়েতে মানবপাচারে হাজার কোটি টাকার কারবারের সম্পৃক্ততা পান।

এ বিষয়ে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, সাংসদ কাজী শহিদকে আটকের খবর এখানকার গণমাধ্যমে জানার পর এ নিয়ে জানতে রোববার কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখি। এখন পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে পারিনি।

ওই এমপির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে একজন সংসদ সদ্য এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবেন তা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমন সময় এই ঘটনাটা ঘটেছে যখন পৃথিবীর সব দেশ মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। এমন সময়ে ওই এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এতে লজ্জিত।’

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির সমঝোতার মাধ্যমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন পাপুল। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। পরে এক পর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির প্রার্থী। আলোচনা ছিল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পাপুল ওই প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেন। বিষয়টি নির্বাচনের সময়ই বেশ আলোচিত ছিল।