ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বই বিক্রির তদন্তে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাক্ষাৎকার নিলেন ডিবি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইন্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের যষ্ঠ শ্রেনি হতে নবম শ্রেনি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের সেই সরকারি পাঠ্যবই বই বিক্রি মামলার তদন্তে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাক্ষাৎকার, বইয়ের চাহিদা, প্রাপ্তি ও শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখলেন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ।

 

সোমবার মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবির এস আই মামুনুর রশিদ সুন্দরগঞ্জ ডি ডাবিøউ সরকারি ডিগ্রী কলেজ হলরুমে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কাগজপত্র দেখেন। এর আগে সোমবার সকালে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ থানায় রাখা জব্দ করা সেই পাঠ্যবই সমুহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে নিকট হস্তান্তর করেন মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল, একাডেমিক সুপারভাইজার বেলাল হোসেন প্রমুখ।

১৫ জানুয়ারী রোববার বই বিতরণের গোডাউন সুন্দরগঞ্জ ড্রিড রাইটার সরকারি কলেজের হলরুম হতে ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের সাড়ে এগারো হাজার বই হলুদ কালারের একটি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা নেয়ার পথে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ সেটি জব্দ করে চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বইগুলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের নিকট হতে সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবহিত করালে ১৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে মাজেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। রাতেই বইয়ের গোডাউন তল্লাশি করে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের পর অবশিষ্ট যষ্ঠ শ্রেনি হতে নবম শ্রেনির ১১ হাজার ৫০০ নতুন বই গোডাউনে নেই।

 

১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের নিকট হতে পিকআপ ভ্যানসহ জব্দকৃত বই ,চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ১৮ জানুয়ারী বুধবার তিনজন আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৮ জানুয়ারী বুধবার রাতেই গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হেসেন মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।

মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদ জানান, বইয়ের সঠিক হিসাব নিকাশ বের করার জন্য প্রতিষ্ঠা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি জেল হাজতে রয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার বাদী ও সেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডলকে রংপুরের পীরগঞ্জে বদলী করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বই বিক্রির তদন্তে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাক্ষাৎকার নিলেন ডিবি পুলিশ

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইন্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের যষ্ঠ শ্রেনি হতে নবম শ্রেনি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের সেই সরকারি পাঠ্যবই বই বিক্রি মামলার তদন্তে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাক্ষাৎকার, বইয়ের চাহিদা, প্রাপ্তি ও শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখলেন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ।

 

সোমবার মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবির এস আই মামুনুর রশিদ সুন্দরগঞ্জ ডি ডাবিøউ সরকারি ডিগ্রী কলেজ হলরুমে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কাগজপত্র দেখেন। এর আগে সোমবার সকালে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ থানায় রাখা জব্দ করা সেই পাঠ্যবই সমুহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে নিকট হস্তান্তর করেন মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল, একাডেমিক সুপারভাইজার বেলাল হোসেন প্রমুখ।

১৫ জানুয়ারী রোববার বই বিতরণের গোডাউন সুন্দরগঞ্জ ড্রিড রাইটার সরকারি কলেজের হলরুম হতে ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের সাড়ে এগারো হাজার বই হলুদ কালারের একটি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা নেয়ার পথে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ সেটি জব্দ করে চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বইগুলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের নিকট হতে সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবহিত করালে ১৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে মাজেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। রাতেই বইয়ের গোডাউন তল্লাশি করে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের পর অবশিষ্ট যষ্ঠ শ্রেনি হতে নবম শ্রেনির ১১ হাজার ৫০০ নতুন বই গোডাউনে নেই।

 

১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের নিকট হতে পিকআপ ভ্যানসহ জব্দকৃত বই ,চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ১৮ জানুয়ারী বুধবার তিনজন আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৮ জানুয়ারী বুধবার রাতেই গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হেসেন মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।

মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদ জানান, বইয়ের সঠিক হিসাব নিকাশ বের করার জন্য প্রতিষ্ঠা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি জেল হাজতে রয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার বাদী ও সেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডলকে রংপুরের পীরগঞ্জে বদলী করা হয়েছে।